পর্যবেক্ষণে অনাগ্রহ বিদেশী সংস্থার

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রথম ধাপের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে দেশের নয় পর্যবেক্ষক সংস্থা। এসব সংস্থা প্রায় পাঁচ হাজার পর্যবেক্ষক নিয়োগে কমিশনের কাছে আবেদন করেছে।

তবে এ পর্যন্ত কোনো বিদেশী সংস্থা ও পর্যবেক্ষক ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আবেদন করেনি।

এদিকে, জাতীয় ও স্থানীয় শতাধিক পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ইউপি নির্বাচনে নতুন আবেদন আহবান না করে নিবন্ধিত সংস্থাগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নয় সংস্থা প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৪ হাজার ৯৩৪ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগের অনুমতি চেয়েছে। ১২০ জন কেন্দ্রীয়ভাবে এবং ৪ হাজার ৮১৪ জন স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলো।

আবেদনকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) ১০ জন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসপ) ১৫ জন, ডেমক্রেসি ওয়াচ ৮০ জন, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন ৩ হাজার ৭৮০ জন, ব্রতী ৩০০ জন, সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নীড (স্রাবন) ৭০৮ জন, পলিসি রিসার্স স্টাডিজ ফাউন্ডেশন (পিআরএসকে) ১৪ জন, বাকেরগঞ্জ ফোরাম ১২ জন এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন পরিষদ ১৫ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছে।

ইসির জনসংযোগ শাখা জানায়, তফসিল ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে আবেদনের নিয়ম রয়েছে। ইসিতে শতাধিক সংস্থা নিবন্ধিত হলেও সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ থেকে ২৫টির মতো সংস্থা পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সংস্থাগুলোর আগ্রহ কম। তবে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে ২৯টি সংস্থা প্রায় ৪ হাজার পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল। ওই সময়ও বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিল না।

এদিকে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে জাতীয় ও স্থানীয় শতাধিক পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে চলে আসায় নতুন করে নিবন্ধনের আবেদনের সুযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে বর্তমানে নিবন্ধিত সংস্থাগুলো এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, নবম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চালু হয়।

২০০৮ সালে ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। তখন নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল এক বছর। পরবর্তীতে নিবন্ধনের মেয়াদ ৫ বছরসহ বিভিন্ন সংশোধনী এনে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ২০১০ সালে শতাধিক সংস্থার নিবন্ধন দেয়া হয়। এসব সংস্থার মেয়াদ গত জানুয়ারিতে শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় ইউপি নির্বাচনে এসব সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিতে মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর